ভূমিকাঃ
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথাপিছু জমির পরিমান এবং আবাদযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। তাই আগামী প্রজন্মের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা, আবাসনসহ উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আধুনিক ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তির। এ দক্ষ জনশক্তি তৈরি হতে পারে ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে। ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি) এর পরিচিতিঃ
ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৮৭ সালে “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রথম দফায় কর্মসূচির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৯৮৭-৮৮ ও ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছর। শুরুতে গণভবন, শেরেবাংলানগর, ঢাকায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। পরবর্তিতে কর্মসূচির মেয়াদ ১৯৮৯-৯০ এবং ১৯৯০-৯১ অর্থবছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় এবং ভূমি সংস্কার বোর্ড, ১৪১-১৪৩ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। কর্মসূচিটি পুনরায় ১৯৯১-৯২ ও ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। ইতোমধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” কে স্থায়ীরূপ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ লক্ষ্যে “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি” ০১-০৬-১৯৯৩ তারিখ হতে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত হয়ে “ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নামে নামকরণ হয়। সে সময় থেকে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ভবন ৩/এ নীলক্ষেত, কাটাবন, ঢাকা-১২০৫ এ পরিচালিত হচ্ছে। ভূমি বিষয়ক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান সরকার ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য ১২ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট নিজস্ব ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ২০১৩ সাল হতে নিজস্ব ভবন ৩/এ নীলক্ষেত, কাটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫ এ ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বৃহত্তর পরিসরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস